Journey Of Biko

আমাদের যাত্রা

বিশ্ববিদ্যালয় হলো উচ্চশিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞান, দক্ষতা ও মানবিক গুণাবলী অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদেরকে একজন ভালো মানুষ ও একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করা উচিত:

জ্ঞান অর্জন: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের অধ্যয়নরত বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এজন্য তাদের বিভিন্ন বই, গবেষণাপত্র, জার্নাল ইত্যাদি পড়তে হবে এবং তাদের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করতে হবে।

দক্ষতা অর্জন: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এজন্য তারা বিভিন্ন ক্লাস, সেমিনার, বিভিন্ন সংগঠনের কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।

মানবিক গুণাবলী অর্জন: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন মানবিক গুণাবলী অর্জন করতে হবে। এজন্য তাদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আবু রাকেশ জয় ভাই একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেন যার নাম 'বিকো'। জয় ভাই বিকো প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু কেন্দ্রীয় শহর ঢাকা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত তাই আমরা যোগাযোগ এবং অন্য বিষয় সমূহের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ি। তারপরও দমে যাইনি, বিকোর কার্যক্রম এগিয়ে নিতে থাকি। বিকোর অগ্রগামী যাত্রায় অদম্য ভূমিকা রেখে কাজ করে চলেছে বিকোর ফাউন্ডার আবু রাকেশ জয় ভাই। আবু রাকেশ জয় ভাই ২০১৯-২০ সেশনের ফোকলোর বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী না হয়েও আইটি নিয়ে কাজ করার অদম্য সাহস সঞ্চয় করেছেন। এই যাত্রায় শুরুতেই তিনি তার বন্ধুদের বিকো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো এবং বোঝানোর চেষ্টা করেন। বন্ধুরা জয় ভাইয়ের অগ্রগতির আইডিয়াটাকে সাদরে গ্রহণ করেন এবং "বিকো বুক" নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু শুরুর দিকে এই প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতি ব্যহত হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যদিও মেধাবী কিন্তু সবার মধ্যে বড় হবার সেই স্বপ্ন থাকে না। কিন্তু জয় ভাই দমে যান নি। তিনি তার পরিকল্পনামাফিক কাজ চালাতে থাকেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেন। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীরা আসলে তাদের সাথে জয় ভাই আইডিয়া সেয়ার করতে থাকেন এবং ধীরে ধীরে বিকোও তার নিজ গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যায়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক দুস্থ মেধাবী শিক্ষার্থীদের টিউশনি ও থাকার ব্যবস্থা করে দেন। এতে শিক্ষার্থীরা জয় ভাইয়ের প্রতি অনুরাগী হয়ে ভাইয়ের প্লানের অংশীদার হন এবং জয় ভাই বড় পরিসরে তার প্লান বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নেন।এভাবেই কিছুদিনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিকোর একটি বিশাল কমিউনিটি তৈরি হয়। জয় ভাই তার এই বিকো প্রতিষ্ঠানটির কাকর্যক্রম বিস্তারের লক্ষ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রতিষ্ঠানটির মেম্বার সংগ্রহ শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিকো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হয়। বিকোর কামিউনিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশ ব্যাপি। আবু রাকেশ জয় ভাই বিকো টিমের সকল সদস্যদের দেশ ও দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বুঝানোর পাশাপাশি বর্তমান পৃথিবী কীভাবে ধীরে ধীরে আইটি সেক্টরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং কীভাবে বিভিন্ন স্কিল তৈরির মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ করে তোলা যায় সে বিষয়ে ধারণা দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি তিনি সকল সদস্যদেরকে বিভিন্ন স্কিল নিয়ে ট্রেনিং দিতে থাকেন এবং তাদের দক্ষ করে তোলেন। এভাবেই বিকো টিম কিছুদিনের মধ্যে একটি শক্তিশালী টিমে পরিণত হয় এবং সেই টিম দ্বারা একাধারে ওপেন করা হয় জ্ঞানবিস্তার,বিকো মার্ট, বিকো ফুড এন্ড ফ্রুট,বিকো আইটি ইন্সটিটিউট, বিকো এডুকেশনাল গ্যালারি এবং বিকো মেডিকেল ট্রিটমেন্ট। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য অনেক সদস্যের প্রয়োজন হয়। ক্যাম্পাসে এতদিনে চলে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকদল তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী। এরপর নতুন সদস্যের খোঁজে বের হয় বিকো টিমের সদস্যরা। জয় ভাই ২০২১-২২ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশাল বড় একটি পরিকল্পনা হাতে নেন এবং বিকো টিম তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অনুযায়ী মেম্বার পেয়ে যায়। কিন্তু তারা ছিল অনেক অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ। বিকো টিম তাদের দক্ষ করার জন্য প্রতিনিয়ত মিটিং এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে। তাদের একাধারে কামিউনিকেশন স্কিল,গ্রাফিক ডিজাইন,আইটি স্কিল, প্রফেশনাল লাইফ ট্রেইনিং, প্রেজেন্টাশন, পাবলিক স্পিকিং ইত্যাদি শেখানো হয়। এই ধাপে বিকো টিম আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং আবু রাকেশ জয় ভাই তখন ওয়েবসাইট ও অ্যাপস নিয়ে কাজ করা শুরু করেন। ভাইয়ের এতদিনের স্বপ্ন যেন সত্যি হতে থাকে। এখন আমাদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের কাজ শেষের পথে। সময়ের পরিক্রমায় এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে
আরো একদল তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর আগমন হয়েছে। এখন বিকো তাদেরকে তৈরি করা নিয়ে কাজ করতেছে। এত লম্বা জার্নি নিশ্চয়ই সবসময় সুখকর ছিল না।