Biko Team
ABU RAKESH JOY
Founder & CEO, BIKO
Undergraduate Student, University Of Rajshahi
"ভবিষ্যৎ তাদের হাতে, যারা তাদের স্বপ্নকে বিশ্বাস করে"
- ইলানর রুজভেল্ট
শৈশব থেকে কৈশোরে পদার্পণ এবং ইন্টারনেটের সংস্পর্শে এসে নানাভাবে শিখছি নতুন কিছু। নওগাঁ কে. ডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি, নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে ২০১৯ সালে এইচএসসি এবং বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার পর থেকে নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। নিজের স্বপ্নকে উদ্ভাবন করি। মানুষের প্রয়োজনে এবং কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে বিকো প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করি।
RAKIBUL ISLAM
Co-Founder & CTO, BIKO
Undergraduate Student, University Of Rajshahi
অজানাকে জানার আগ্রহ খুব ছোটবেলা থেকে আমার। ২০১২ সালের দিকে প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার সুযোগ পারিবারিক স্মার্ট মোবাইলের কারণে।তখন ইন্টারনেট সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন জাগলেও সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব হয় নি।নবম শ্রেণিতে প্রথম কম্পিউটার কেনা হলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করার সুযোগ হয়।এই সময়ে আমি ওয়ার্ডপ্রেস,ওয়েবসাইট ও এপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে প্রচুর ঘাটাঘাটি করি এবং এসব বিষয় শেখার চেষ্টা করি।পরবর্তীতে কলেজে উঠার কিছু বন্ধু মিলে একটি এডুকেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করার চেষ্টা করি কিন্তু পড়াশোনার চাপে সেটি সম্পূর্ণ করার সুযোগ হয় নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর আমি আইটি রিলেটেড কিছু করার চেষ্টা করি কিন্তু ফলপ্রসূ কিছু করতে পারিনি। কিন্তু ঘটনাক্রমে জয় ভাইয়ের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয় এবং ভাই ওনার আইডিয়া শেয়ার করলে সেটি আমার কাছে চমৎকার লাগে। তখন ভাইয়ের সাথে বিকো কে তৈরি করার কাজে লেগে যাই।এখন বিকোর কাজ প্রায় সম্পূর্ণ শেষ যেটি আমার কাছে অনেক আনন্দের। বিকো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে আপনারা একাধারে বিভিন্ন কন্টেন্ট এর পাশাপাশি বই, ই-কমার্স, এডুকেশনাল কোর্স ও মেডিকেল সেবা পাবেন যা আমাদের একই প্লাটফর্ম এ সব কিছু পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়।আমি আশা করছি বিকো এর মাধ্যামে বাংলাদেশ প্রযুক্তি খাতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
RAKIN SHAHRIAR ROHAN
Co-Founder & CPO, BIKO
Undergraduate Student, Jagannath University
"ধৈর্যের সফর কঠিন হলেও শেষ পর্যন্ত কিন্ত গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছে " এই প্রত্যয় নিয়ে যখন আমি বিকো'তে নিজেকে নিয়জিত করি ।নওগাঁ জেলা স্কুলে থাকতে আমি প্রথম স্কাউট সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম। নটরডেম কলেজে থাকতে আমি বিভিন্ন সংগঠন যেমন স্কাউট ক্লাব, আইসিটি ক্লাব, কালচারাল ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলাম এবং সাংগঠনিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছি। যখন আমি ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষে উঠি তখন সারাবিশ্ব করোনা মহামারীর কবলে আক্রান্ত। করোনা পরিস্থিতিতে আবু রাকেশ জয় ভাই আমার গৃহ শিক্ষক ছিল। কম্পিউটার ব্যাবহারে পারদর্শী এবং বইয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকার কারণে ভাই আমাকে বিভিন্ন স্কিল শেখার জন্য উৎসাহ দিত ।আমি মোবাইল,কম্পিউটারের অনেক নতুন স্কিল শেখার চেষ্টা করি।কোন স্কিল শেখার পর কাজের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে আমার খুব ভালো লাগত। ভালোলাগা,ভালোবাসা থেকে ২০২১ সালের পর ধীরে ধীরে আমরা বিকো প্রতিষ্ঠান কে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছি। বিকো অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে সাধারণ,মেধাবী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের জন্য।
Rasel Hossen
Executive Member , BIKO
Undergraduate Student , Dhaka University
উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনার পার্ট চুকিয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয় এলাম তখন মুক্তভাবে চিন্তা করা শিখতে পারলাম। আর এই মুক্ত ভাবে চিন্তা করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি প্রাঙ্গনে নিজের বিচরণ সৃষ্টি করলাম। কোন এক আগন্তুক ভাবে বিকোর সাথে পরিচয়। এরপর বিকো সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করি এবং যতই ঘাটাঘাটি করি ততই যেন একটি তৃষ্ণা অনুভব করি। পরক্ষনেই আবু রাকেশ জয় ভাই এর সাথে আমার কথা হয় এবং আস্তে আস্তে সেসময় ২০২২ সালে বিকোর প্লানগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছিল। যা এখন বর্তমানে আপনারা দেখছেন এরকম কোনো কাঠামোই ছিল না। শুধুমাত্র আমাদের কল্পনার জগতেই ছিল এবং এই কল্পনার জগৎ কে বাস্তবায়ন করার জন্যে এক রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধ করতে হয়েছে। এই যুদ্ধের ফলে আমি নিজেও অনেক কিছু শিখেছি এবং অন্যদেরও কিছু শেখানোর চেষ্টা করেছি। বিকো এডুকেশনাল গ্যালারি থেকে আমরা একটা কোর্স বের করি। সেখানে প্রায় ২০০-২৫০ শিক্ষার্থীকে ফ্রী সার্ভিস দিয়ে থাকি। এছাড়া বিকো র মাধ্যমে ধীরে ধীরে বিভিন্ন রকম স্কিল শেখার সুযোগ হয়ে উঠেছে। একটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে অনেক রকম ক্ষুদ্র প্লাটফর্ম থাকার ফলে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্কিল আয়ত্ত করতে পারি। এভাবে বিকো দক্ষভাবে গড়ে উঠতে চেষ্টা করা তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্যে দিনে দিনে এক অনবদ্য প্লাটফর্ম হয়ে উঠছে।
MD Roman Sarkar
Senior Executive, BIKO
University of Rajshahi
ছোটবেলা থেকেই মানুষকে বিভিন্ন বিষয় বুঝাতে ভালবাসতাম, ধীরে ধীরে শিক্ষকতার প্রতি আমার অনুরাগ খুঁজে পাই।
২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার পর আমার হাতে দুই মাস অবসর সময় ছিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা ভেবে বাংলাদেশের যতগুলো ভর্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক ফেসবুক পাবলিক গ্রুপ আছে সেগুলোতে আমি প্রতিনিয়ত ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক মেন্টরিং করতে শুরু করি।
সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বড় ভাইয়াদের প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হবার অফার পেলেও যুক্ত হওয়া হয়নি, যুক্ত হই সর্বশেষে যোগাযোগকারী 'আবু রাকেশ জয়' ভাই'য়ের সাথে । ভাইয়ের প্রতিষ্ঠান "বিকো"র ভার্সেটাইল ট্র্যাটেজি শুনে একজন বিবিএ শিক্ষার্থী হিসেবে মুগ্ধ হই এবং বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হওয়ার পূর্বেই সক্রিয় হয়ে উঠি "বিকো"তে।
একটি বিষয় সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করত, 'বিকো মানুষের জীবনকে আরও সহজ থেকে সহজতর করার জন্য কাজ করছে' আর আমি তা বাস্তবায়নে অবদান রাখছি। "বিকো" এর সাথে দীর্ঘ এই পথযাত্রায় আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তিও কম নয়। কর্পোরেট কালচার, কর্পোরেটে স্কিলস অর্জন করেছি প্রাক্টিক্যালি, এছাড়া আমাকে অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি প্রদানকারী "শিক্ষার্থীদের কে শেখানোর আনন্দ'' লাভ করেছি প্রতিনিয়ত।
আশা রাখছি, "বিকো" সারাদেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এবং তরুণ শিক্ষার্থীদের কে স্কিলড করে কর্মসংস্থান তৈরিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।